গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ, ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ এবং ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন জনিত বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রনয়ণ করে ।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের দিক নির্দেশনায় অধিদপ্তর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন করছে। তাছাড়া ৬৪ টি জেলায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে ১১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি, উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান কে সভাপতি করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সভাপতি করে ২০ সদস্য বিশিষ্ট ইউনিয়ন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি রয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন, ২০০৯ ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে একটি সুসংহত আইন। এ আইনে ভোক্তা স্বার্থ বিরোধী কাজের জন্যে সর্বোচ্চ ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। তাছাড়া উক্ত দণ্ডের অতিরিক্ত অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ঠ অবৈধ পণ্য বা পণ্য প্রস্ততের উপাদান, সামগ্রী ইত্যাদি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণের ও বিধান রয়েছে। এ আইনের অধিনে কোন সংক্ষুব্ধ পক্ষ আদেশ প্রদানের ৬০ দিনের মধ্যে সহনীয় অধিক্ষেত্রের সেশন জজ আদালতে আপীল দায়ের করতে পারেন ।তাছাড়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতের রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে ৯০ দিনের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগেও আপীল দায়ের করার বিধান রয়েছে।
এই আইনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন। এ আইনে অপরাধ আমলযোগ্য, আপোষযোগ্য এবং জামিনযোগা। বিভিন্ন নামে ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত অন্যান্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত আইনসমূহ বলবৎ থাকার প্রেক্ষাপাটে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ একটি অতিরিক্ত আইন। ইহা মূল আইন না হলে ও আইনটি সুসংহত এবং বিস্তৃত। এ আইনের আওতায় বিচারিক ব্যবস্থা বহু মাত্রিকঃ
প্রশাসনিক ব্যবস্থা: জরিমানা আরোপ, লাইসেন্স বাতিল এবং কার্যক্রম অস্হায়ী ও স্হায়ীভাবে বন্ধকরণ;
ফৌজদারী ব্যবস্থা: মামলা দায়ের হলে সর্বোচ্চ ৩ বছরের জেল ও ২ লক্ষ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড ;
দেওয়ালী প্রতিকারঃ অর্থের ক্ষতি নিরুপিত ৫ গুণ পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবী করে মামলা দায়ের করা বিচারের নিম্নোক্ত রায় হতে পারেঃ
(ক) ক্রটিপূর্ণ পণ্য যথাযথ পণ্য দ্বারা প্রতিস্থাপনের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান ।
(খ) ক্রটিপূর্ণ পণ্য ফেরত গ্রহণ করে উক্ত পণ্যের মূল্য বাদীকে ফেরত প্রদান করার জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান;
(গ) ক্ষতিপূরণের জন্য বাদীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, যা আর্থিক মূল্যে নিরুপিত ও প্রমাণিত ক্ষতির অনুর্ধ্ব ৫ গুণ পর্য্ন্ত হতে পারবে, প্রদানের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান: মামলার খরচ প্রদানের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান।
বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ : ঔষধে ভেজাল মিশ্রণ বা নকল ঔষধ প্রস্তুতের জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা যাবে।
স্টেশাল ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের : অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় স্পেশাল ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করা যাবে, এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস